বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি: ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বদী গ্রামে প্রথম জীবনের প্রেমের কারনে জীবন কেড়ে নিলো শাকিলা আক্তার মনির।
জানা যায়, পরমেশ্বদী গ্রামের লিয়াকত হোসেনের মেয়ে শাকিলা আক্তার মনির (২৮) দুই বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের মো. হুমায়ন কাজীর (৩৮) সাথে। বিয়ের পর থেকে ওই গৃহবধূ তার বাবার বাড়িতে থাকতো। গত ১৫ দিন আগে হুমায়ন কাজী বাসা ভাড়া করে ওই গ্রামেই তার স্ত্রী মনিকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। শনিবার (১৬ এপ্রিল) বিকালে ওই গৃহবধূর মৃত দেহ ভাড়া বাসা থেকে উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
শাকিলা আক্তার মনির আপন চাচাতো ভাই হাসিবুল হাসান মিথুন জানান, মনির আগে এক জায়গায় বিয়ে হয়। সে পক্ষের ১২ বছরের একটি ছেলে রয়েছে। ওই ছেলে হুমায়ন কাজীরও আগের পক্ষের স্ত্রী রয়েছে। তারও একটি মেয়ে রয়েছে। গত দুই বছর আগে ওরা দুইজন গোপনে আদালতে গিয়ে বিয়ে করে। পরে বিয়ের পর থেকে মেয়ে বাবার বাড়িতে থাকেন।
গত ১৫ দিন আগে হুমায়ন তার স্ত্রী মনিকে নিয়ে গ্রামেই ভাড়া বাসায় থাকেন। শনিবার সকাল ৮টার দিকে হুমায়ন বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর গৃহবধূর আগের পক্ষের ছেলে বাসায় গিয়ে দেখে তার মা খাটের উপর ওপুর হয়ে শুয়ে আছে। ডাকাডাকি করে সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মাকে ঘুরিয়ে দেখে গলায় দাগ দেখা যাচ্ছে এবং কোন সাড়া শব্দ নেই।
এ সময় ওই শিশুর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে গেলে কর্তবরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তাকে বাড়িতে নিয়ে আসলে থানা পুলিশ খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
লাশ উদ্ধারকারী কর্মকর্তা এসআই কামরুল ইসলাম বলেন, মেয়ে আর ছেলের প্রথম জীবনে প্রেম ছিল। সে সময় মেয়ের এক জায়গায় বিয়ে হয়। ছেলে অন্য জায়গায় বিয়ে করে। বর্তমানে ছেলের ঘরে স্ত্রী ও একটি বাচ্চা রয়েছে।
তারা দুজনে গত দুই বছর আগ গোপনে আদালতের মাধ্যমে বিয়ে করে। লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে হত্যা না আত্মহত্যা। তবে ঘটনার পর থেকে তার স্বামী হুমায়ন পলাতক রয়েছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।